পৃথিবীতে শেষ দিনের ভিডিও_০১
এই লেখাটি ইতিমধ্যে 577বার পড়া হয়েছে।
তুমি আমার মুখের সামনে এমন কথা বলতে পারলে বীনা? আমি তো ভাই বলতে চাইনি, তুমিই তো আমাকে বলতে বাধ্য করলে। আবার মুখে মুখে তর্ক করিস। ভাইয়া এটি তর্ক নয়, যা সত্য তাই বলেছি। তাহলে তুমি সদয়কে বিয়ে করবেনা? না ভাই আমার এখন বোঝার বয়স হয়েছে, এটা অন্য কোন বিষয় নয় যে, তুমি যা বলবে আমাকে তাই মেনে নিতে হবে। যাকে নিয়ে সারা জীবন সংসার করতে হবে , যাকে আমি বিয়ে করবো তার সম্পর্কে আমার জানার বিষয় আছে। তাই আমি সদয়কে বিয়ে করতে পারবোনা । আর একটা বিষয় আপনাকে জানাতে চাই, আমি হৃদয়কে ভালবাসি, তাই বিয়ে করতে হলে ওকেই করবো।
হৃদয়কে ভালবাসার কথা শুনে বীনার ভাই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। ভিতরে ভিতরে আগুন জ্বললেও তিনি নিশ্চুপ থাকলেন। বীনার ভাই মনে মনে বুদ্ধি আঁটলেন, এভাবে হবেনা, তাই এলাকার কিছু ছেলেদের দিয়ে হৃদয়কে ভয় দেখালেন। ছেলেরা এমনও বলল ভবিষ্যতে যদি তোমাকে বীণার সাথে কথা বলতে দেখি, তাহলে দেখে নাও এটা কি, ভালো করে দেখে নাও, মনে রেখো এই পিস্তলটা দিয়ে আজ পর্যন্ত কোন শুট করা হয়নি এবং প্রথম শুটটা যেন তোমার কপালে না জুটে।
ভয় , অভিমান, দুঃখে হৃদয় বড় ভাইয়ের বাসায় চলে গেল। হৃদয়ের বড় ভাই একটা এনজিও তে চাকরি করে, ঢাকায় থাকে। আচমকা হৃদয়কে দেখে সালাম সাহেব বল্লেন হৃদয় তুই এতো রাতে! হৃদয় সব খুলে বলল। বড় ভাই হৃদয়কে খুব ভালবাসতেন। বাবা মারা যাবার পর থেকে বড় ভাইই ছোট ভাইবোন সকলকে মানুষ করেছেন। বড় ভাই হৃদয়কে অভয় দিলেন এবং বল্লেন…………
চলবে…
নোটঃ সুপ্রিয় পাঠক, সহযোদ্ধা লেখক ভাইদের আমার শ্রদ্ধা এবং সালাম, গল্প লেখায় আমি একেবারে নতুন, তাই আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে আমাকে জানিয়ে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করবেন। গল্পটি একটু বড় বিধায় কয়েকটি পর্বে পোষ্ট করবো।